রমা ২৪ বছর বয়সী একজন গ্রাম্য নারী।তাহার স্বামী জটিল বক্ষ ব্যাধিতে আক্রান্ত হইয়া বিছানায় পড়িয়া রহিয়াছে।বোধহয় তিনি পরপারে যাইবার জন্য দুঃখের গরলে-ভরা সাগর পাড়ি দিতে বিরতিহীন সাঁতার কাটিয়া যাইতেছেন।
রমার ২৪ বছর বয়সী দেহখানার দিকে তাকাইলে মনে হয় যেন ফুটন্ত একখানা রক্ত গোলাপ।তাহার চেহারাটা যেন পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় তিক্ত-মধুর অমৃত গরল মিশ্রিত কলঙ্কের প্রতীক।তাহার চক্ষুদ্বয় অন্ধকারাচ্ছন্ন পাপাকাশের একজোড়া ধ্রুবতারা।তাহার গোলাপের পাপড়ির ন্যায় ওষ্ঠদ্বয়,দুধে আলতা গায়ের বরন,পবনের সহিত প্রণয়-কৃত ঘন কালো সুবিন্যস্ত সুদীর্ঘ কেশ-গুচ্ছ দেখিয়া মনেহয় সে যেন কামদেবীরই অবতার।তাহার প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই কামনা বাসনার অমর প্রতীক।তাহার পানে চাহিয়া প্রত্যেকটি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের মন কামনা বাসনার অথৈয় সাগরে অবগাহন করিতে চাহে যেমনটি বর্ষাকালের অদম্য বৃষ্টির জলের ফোটা সদানন্দ চিত্তে নদী, পুকুর কিংবা সাগরের বুকে অবগাহন করিয়া থাকে।
রমার ননদের পুত্র উদয় সরকার ক্লাস টেনে পড়াশোনা করে।তাহার বয়সটা খুব হইলে ১৫ বা ১৬ হইবে।সে সবেমাত্র জীবনের অমৃতময় বসন্তে পদার্পণ করিয়াছে। আসলে ১৬ বছর বয়সটা জীবনের অভিন্ন সময়।ইহা না যৌবন না বাল্য না বাল্য না কৈশোর।ইহায় জীবন বসন্তের শেষ্ঠতম সময়।এসময় মানবমনে যৌবন কৈশোর ও বাল্যের মিশ্র-ভাব বিরাজ করিয়া থাকে।তাই ১৬ বছর বয়স্করা বালক নাকি কিশোর নাকি যুবক তাহা সঠিক করিয়া বলা খুবই কঠিন।
একদিন উদয় তাহার ঘরে বিছানাতে শুইয়া আকাশ কুসুম চিন্তায় সমাধিস্থ হইয়া অজানা কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করিতেছিল।উদয়ের ঘরের পাশেই নলকূপ।এমন সময় মামী রমা গোসল করিবার জন্য নলকূপের নিকটে আসিল।ইহার কিছুক্ষণ পরে শনি গ্রহের সর্বগ্রাসী দৃষ্টির ন্যায় উদয়ের দুর্ভাগা দৃষ্টি পড়ে তাহার মামীর অর্ধ নগ্ন জলে ভেজা কলঙ্কিত দেহের উপর।অনিচ্ছাকৃত তাহার এ দৃষ্টিই তাহার জীবনে দুর্ভাগ্যের অধ্যায় রচনা করিয়াছিল।তাহার পড়ে উদয় তাহার মামীকে লইয়া তাহার অন্তর মনে যে কত জল্পনা-কল্পনার ছবি আঁকিয়াছিল, কত যে তিক্ত মধুর দিবা স্বপ্ন দেখিয়াছিল তাহা বলার প্রয়োজন আছে বলিয়া আমার মনে হয়না।
রমার দাম্পত্য জীবনের বয়সটা খুব বেশি দিনের নহে।কিন্তু তাহার ন্যায় দুর্ভাগা খুব কম নারীই আছে।তাহার স্বামী অচল হইয়া যাওয়াতে সে প্রায় ২ বছর ধরিয়া স্বামীর বিরহানলে তুষের আগুনের ন্যায় জ্বলিতেছে।তাহার জীবনে শান্তির লেশমাত্র নায়। ক্ষুধার্ত,তৃষ্ণার্ত প্রভু-হীন পথের অসহায় কুকুরেরা যেমন খাবারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটিয়া বেড়াইতে বেড়াইতে থাকে এবং খাবার না পাইয়া তীব্র ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করিতে থাকে তেমনি ঠিক তেমনি রমার ক্ষুধায় তৃষ্ণায় ভরা দুর্ভাগা মনটাও তদ্রূপ হইয়া উঠিয়াছে।একটা গোবর গণেশ ছাত্র যেমন জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করিতে যাইয়া বারে বারে ব্যর্থ হইয়া হতাশাগ্রস্ত হইয়া পড়ে ঠিক তেমনি রমাও তাহার ক্ষুধায় তৃষ্ণায় ভরা জটিলতর গাণিতিক জীবনের দুর্বোধ্য সমস্যার সমাধান খুঁজিতে যাইয়া নিরাশার মহাসাগরে ক্রমাগত অবগাহন করিতে থাকে।অবশেষে তাহার ক্ষুধায় তৃষ্ণায় ভরা মনটা নিরাশার অথৈই সাগরে সাঁতার কাটিতে কাটিতে এক দারুচিনির দ্বীপের কাছে আসিয়া থামিয়া যায়।এতদিনে সে যেন দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাইবার জন্য একটা সমাধান খুঁজিয়া পাইল।সে মনে মনে ভাবিল তাহার ননদের পুত্র উদয়কে দিয়া তাহার দেহ মনের বোঝাটা অপসারণ করিয়া লইলে কেমন হয়।অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া সে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হইল যে পাপে ভরা,কলঙ্কে পরিপূর্ণ তাহার জীবনের ক্ষুধায় তৃষ্ণায় ভরা বোঝাটাকে বহন করিবার জন্য উদয় সরকারকেই কুলি হিসেবে নিয়োগ করিবেন।সমাজের চোখে ঘৃণিত,লাঞ্ছিত তাহার এ সিদ্ধান্তটাকে বাস্তবে রূপদান করিবার জন্য সে উদয়ের কক্ষে যাইয়া তাহাকে বলিল;বাবা উদয়!আমার টিভিটা অন হইতেছেনা।বাবা তুমি আজ রাতে আসিয়া দেখিয়া যায়ও-তো।উদয়ও বহুদিন ধরিয়া তাহার মামীর এমন একটা কথার অপেক্ষায় বহু কষ্টে রাত্রিযাপন করিতেছিল।তাহার মামীর আমন্ত্রণে সে তাহার অন্তর-মনে যেন এক আশার আলো খুঁজিয়া পাইল। তাহার পরে সে তাহার মামীর অর্ধ-নগ্ন কলঙ্কে-পূর্ণ দেহাবরণটার কথা স্মরণ করিতে করিতে তাহার মামীর সামনে উপস্থিত হইল।ফুল যেমন ভ্রমরকে মধু পানে আকৃষ্ট করিবার জন্য নিজেকে অনন্ত যৌবনা করিয়া সাজাইয়া লয় ঠিক তেমনি লম্পট ভাগ্নেকে আকৃষ্ট করিতে স্বর্গের অপ্সরীর চাইতেও অপরূপ রূপে সাজাইয়া লইল।তাহার রূপের বর্ণনা আমার মত অধমের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নহে।তবে তাহার জ্যোতির্ময় চন্দ্রবদনে সাগরের ন্যায় সুগভীর নেত্র-যুগল, গোলাপের পাপড়ির ন্যায় কোমল ওষ্ঠদ্বয়, মনোহারিণী সুগন্ধযুক্ত সুবিন্যস্ত কেশ-গুচ্ছ;সবার উপরে তাহার অর্ধ-নগ্ন দেহাবরণ হইতে নির্গত অমৃতময় পাপের সুগন্ধ, তাহার দেহে জড়াইয়া থাকা দামী পাতলা শাড়ি,শয়তানের মন্দির নামক তাহার দেহে পরিহিত স্বর্ণের অলংকার, সবকিছু মিলাইয়া তাহার রূপের সৌন্দর্য ফুটিয়া উঠে তাহা যে একটা নাবালেগ বালককেও পাগল করিবে তাহা নিশ্চিত করিয়া বলা যায়।তাহারপরে রমা তাহার ভাগ্নের দিকে যে সর্বনাশের ভাব লইয়া দৃষ্টিপাত করিল তাহা দেখিয়া মনে হয় যেন কোন প্রেমিকা শত জনমের বিরহানলে প্রজ্বলিত হইয়া তাহার সর্বস্ব লুণ্ঠন করাইবার জন্য তাহার প্রেমিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছে।আর যাহাই হোক ঘি আর আগুণকে পাশাপাশি রাখিলে যে যাহা ঘটিয়া থাকে ঠিক এই নির্বোধ
শয়তানের বান্দা-দ্বয়েরও একই অবস্থা ঘটিল।তাহাদের মাঝে মা ও ছেলে নামক একটা মনস্তাত্ত্বিক দেওয়াল থাকিলেও কামনা বাসনার অনলে সে দেওয়ালটাকে ভস্ম করিয়া,সমাজের বুকে লাথি মারিয়া একে অপরের গলায় বাহুর হার পরাইয়া অসামাজিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া পড়িল। তাহাদের পাপে ভরা এ গোপন অভিসারের কথা বোধ হয় বোধ হয় মহান স্রষ্টা ছাড়াও আরেকজন উপলব্ধি করিলে পারিয়াছিল।তাইতো সে ইচ্ছা নামক ব্রহ্মাস্ত্রকে প্রয়োগ করিয়া রমাকে সামাজিক অর্থে বিধবা বানাইয়া,তাহার গোপন অভিসারের রাস্তাকে পরিষ্কার করিয়া তাহার আপন জীবনের গোধূলীলগ্ন হইতে বিদায় লইয়া চিরদিনের মত মহানিদ্রায় নিদ্রিত হইল।অতঃপর রমা কিছুদিন মানুষকে দেখাইবার জন্য বিড়াল তপস্বীর ভূমিকায় অভিনয় করিল।তাহার পরে সে তাহার ননদের পুত্রের সহিত মহানন্দে গোপন সংসার জীবন আরম্ভ করিল।এভাবে বহুদিন ধরিয়া সংসার ব্রত পালন করিবার ফল স্বরূপ রমা গর্ভবতী হইয়া পড়িল।তাহার গর্ভে অতীব সুন্দর একটা পুত্র সন্তান লালিত পালিত হইতে লাগিল।অতঃপর এক অমাবস্যার রাত্রে মহান দয়াময়ের করুণার গোধূলি লগ্নে রমার গর্ভজাত সন্তান জন্মগ্রহণ করিল। সন্তান জন্মের সময় রমাকে যে কষ্ট পাইতে হইয়াছিল তাহার উপমা আমার কাছে নাই।তবে সন্তান জন্মের সময় রমার বাঁচিয়া থাকার আশাটা ডাক্তার একেবারেই ছাড়িয়া দিয়াছিল।ডাক্তারেরে অভিমত হইল;কাহার কোন সমস্যা হঠাৎ করিয়া হয়না।রমা তাহার এ কষ্টের জন্যে নিজেই দায়ী।ক্যাননা কে ছিল হস্তিনী বা শঙ্খণী জাতের নারী।তাহার সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় সে অস্বাভাবিক হারে অ্যালকহোল পাণ করিত।গাঁজা,সিগারেট,ইয়াবা,প্যাথেডিন সহ নান প্রকারের নেশা করিত।অবশেষে মহান দয়াময়ের অকৃপণ কৃপায় রমা বাঁচিয়া উঠিয়াছিল কিন্তু তাহার গর্ভজাত সন্তান যাহাকে সমাজের পরিভাষায় জারজ সন্তান বলা হইয়া থাকে সে সন্তান সন্তান সমাজের জন্য অভিশাপ রূপে অবতার লইল।সন্তান জন্মের পর হইতে রমা আরও নিষ্ঠুর হইয়া উঠিল।সে শয়তানের খাস পূজারি হইয়া উঠিল।রমা তাহার সন্তানের নাম রাখিল রোমান।কিন্তু তাহার সন্তান যে কী দুর্ভাগ্য লইয়া জন্ম লইল তাহা বলা খুব কঠিন।রোমান জীবনে কোনদিন তাহার জননীর আদর ভালোবাসা পায়নি।সন্তান জন্মের পর রমা তাহার সন্তানকে তাহার বাড়িতে রাখা চাকরানীর হাতে ফেলিয়া দিয়া নিজে ফুর্তি করিয়া বেড়াইতে লাগিল।রোমানের বাবা যে বিশাল সম্পত্তি রাখিয়া গিয়াছিল রমা তাহা আপন চিত্তের পাপেপূর্ণ বৃত্তি গুলোকে পূরণ করিবার জন্য উড়নচণ্ডীর ন্যায় উড়াইতে লাগিল।রমা নিয়মিত পর্ণ থিয়েটার, পার্টি, এমনকি পুরুষ পতিতালয়ে যাইতেও সংকোচ করিতনা।অ্যালকোহল,গাঁজা,সিগারেট ছিল তাহার জীবনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
তাহার গর্ভজাত জারজ সন্তান অনাথ আশ্রমের আর ৫ টা সন্তানের ন্যায় তাহার নিষ্ঠুর জননীর আদর বঞ্চিত হইয়া বাড়ির ঝি এর কোলে লালিত পালিত হইতে লাগিল।তাহার পরে দেখিতে দেখিতে সমাজের দৃষ্টিতে জারজ সন্তান বলিয়া আখ্যায়িত এ দুষ্টু ছেলে ৭ বছরে পদার্পণ করিল। একদিন রোমান বাহিরে খেলা করিতেছিল।কী কারণে সে তাহার মায়ের ঘরে প্রবেশ করিল।ঘরে প্রবেশ করিয়াই সে তাহার চোখের সামনে এক নতুন দৃশ্য দর্শন করিল।সে এসব ঘটনা আগে কখন দেখেনি। দে দেখিল তাহার জননী এক যুবকের সহিত গোপন অভিসারে লিপ্ত হইয়া বিছানায় শুইয়া রহিয়াছে।এসব ঘটনা দর্শন করিয়া তাহার শিশুমনে অসংখ্য প্রশ্ন দোলা দিতে লাগিল।তাহার পাড়াতো বোন জুঁই ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। রোমান একদিন জুঁই এর কাছে গিয়া এসব ঘটনা খুলিয়া বলিল এবং এ ব্যাপারের যাবতীয় প্রশ্নের কথা তাহার কাছে ব্যক্ত করিল। তখন জুঁই এ দুষ্টু ছেলেটির আদর্শ শিক্ষক হিসেবে তাহার অন্তর-মনের সমস্ত অন্ধকারকে দূরীভূত করিয়া একটা জ্ঞানের আলোর মশাল জ্বালাইল।জুঁই এ বিদ্যাটাতে রোমানকে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়া এতটাই পাকা পক্ত করিয়া তুলল যে, রোমান বিনা পড়াশোনা করাতে এ ব্যাপারে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি সহ কে. এইচ.ডি(কলঙ্কে ভরা হাইয়ার ডিগ্রি) অর্জন করিয়াছিল।তাহার পরে রোমান আদর্শ গুরুর নিকট হইতে উপযুক্ত বিদ্যা গ্রহণ করিয়া বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করিয়া এ ব্যাপারে মহাজ্ঞানী হইয়া উঠিল।এ কষ্টার্জিত লব্ধ জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করিবার জন্য গুরুর আশীর্বাদ লইতে গুরুর নিকতে গেল।সে তাহার গুরুর কাছ হইতে আরও জটিল হইতে জটিলতর অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তাহার গুরুকে গর্ভবতী গুরুদক্ষিণা দিয়া গুরুর কাছ হইতে প্রস্থান করিল।
তাহার পরে দুষ্টু ছেলে রোমান তাহার এ সিদ্ধিলাভ করা বিদ্যাটাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করিবার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়া গেল।সূর্য যেরূপে তাহার আলোক রশ্মিকে যাচাই বাছাই না করিয়াই সবাইকে দাতাকর্ণের ন্যায় মুক্ত হস্তে দান করিয়া থাকে;সাগরের টেউ যে রূপে তাহার কিনারায় কী আছে তাহা না দেখিয়াই অন্ধের ন্যায় তীরের বুকে আছড়াইয়া পড়িতে থাকে তদ্রূপ রোমানও তাহার অর্জিত বিদ্যাটাকে ব্যবহার করিতে লাগিল। রোমান পুরোপুরি যুবক হইয়া উঠিবার আগেই তাহার মত অসংখ্য দুষ্ট,পাপাচারী,জারজ সন্তানের জন্ম দিয়া জন্মদাতা হইয়া গেল।
রমা তাহার সন্তানের এসব কাণ্ড দেখিয়া ক্রোধানলে জ্বলিতে লাগিল। এক কুকুর যেরূপে অপর কুকুরের খাদ্য খাওয়াটাকে মানিয়া লইতে পারেনা।ঠিক তেমনি রমাও তাহার ন্যায় তাহার গর্ভজাত সন্তানের এরূপ আচরণ কিছুতেই মানিয়া লইতে পারিলনা।তাছাড়া এক বনে তো আর দুইটা বাঘ থাকিতে পারেনা।তাই রমা সিদ্ধান্ত লইল রোমানকে পড়ালেখা করিতে বাহিরে পাঠাইয়া দেবে।রমা বহু টাকা খরচ করিয়া তাহার দেহ সর্বস্ব বিলাইয়া দিয়া রোমানকে কলেজে পড়াইবার জন্য অবৈধভাবে ম্যাট্রিক পাশ সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করিল।তাহার পরে রোমানকে শহরে পড়াশোনা করিবার জন্য পাঠানো হইলো। কথায় আছে;রতনে রতন চেনে আর শুকুরে চেনে কচু। ধূলাকে স্বর্গের লইয়া যাওয়া হইলেও ধূলা ধূলা-ই থাকে। তাহা সকলের পদতলেই স্থান পায়।রোমান শহরে যাইয়া শহরের জটিলতর পরিবেশের সহিত মিশিয়া আরও ভয়ংকর হইয়া উঠিল;যেন একটা গরলে ভরা পুকুর গরলের সাগরের সহিত মিশিয়া গরলে-ভরা মহাসাগরে রূপান্তরিত হইল। রোমান সাগরে যাইয়া এতটাই বিষাক্ত হইয়া উঠিল যে শহরের অধিকাংশ সুন্দরী নারীই তাহার সর্বনাশের বিষাক্ত ছোবল হইতে নিস্তার পাইলনা।তাছাড়া সে কালো ধান্দার সহিত মিশিয়া কুখ্যাত সন্ত্রাসীতে পরিণত হইল।জাগতিক শয়তানি ভোগের কোনটারই অভাব রহিল-না।বিপুল পরিমাণে কালো টাকা,বাড়ি,গাড়ী,অপ্সরীর ন্যায় সুন্দরি নারী সবই তাহার আছে কিন্তু তাহার চিত্তে শান্তি বলিয়া কিছুই নাই। আসলে মানুষ সৎ ও অসৎ এ দু উপায়েই ভোগকে পয়দা পরিতে পারে।কিন্তু সৎ পথে যে ভোগকে অর্জন করিতে পারা যায় তাহা ভোগীতে ভোগীতে একসময় বিরক্তি আসিয়া জায়।আর এ বিরক্তি হইতে জন্ম লাভ করে মুক্তি। একমাত্র মুক্তির মাধ্যমেই মানুষের অন্তর-মন পরম তৃপ্তিতে ভরিয়া উঠে।অপরদিকে অসৎ উপায়েও ভোগকে অর্জন করিতে পারা যায় কিন্তু সে ভোগ হইতে জন্ম লাভ করে আসক্তি।এখানেই মানুষ ফাঁসিয়া যায়। তাহার অধগতি হইতে আরাম্ভ করে। আর অধগতি হইতে জন্মলাভ করে সমস্ত পাপ পঙ্কিলতা। তাছাড়া পৃথিবীর সকল অবস্থা-ই পরিবর্তনশীল। তাই বলা যাইতে পারে আজকে যাহার শিশু হইয়া আছে তাহার এককালে পিতা হইবে।আর এখন যাহারা পিতা হইয়া রহিয়াছে তাহার এককালে শিশু ছিল। তদ্রূপ এখন যাহারা পাপী বলিয়া পরিগনিত তাহার এককালে নিষ্পাপ ছিল।আজকে আমরা যাহাদের নিষ্পাপ বলিতেছি হইতো তাহার এককালে পাপী হইয়া উঠিতে পারে।কেননা মানুষ মরণশীল নহে শুধুমাত্র তাহার ভৌতিক দেহের মরণ আছে কিন্তু তাহার তো মরণ নাই। ঠিক ইহাই ঘটিল রোমানের জীবনে। রোমানের জীবনে এক চমৎকার পরিবর্তন ঘটিল।সকল প্রকারের মাদক ছিল রোমানের জীবনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।সে প্রায় সবসময় নেশা করিয়া থাকিত।কখন গাজা,মদ কখন হেরোইন,মরফিন,প্যাথেডিন আবার কথন আবার আদিম মাদকতায় মাতাল হবার নেশা।
রোমান এক রাত্রে অস্বাভাবিক হারে নেশা করিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছিল।হঠাৎ একটা ভয়ংকর স্বপ্ন দেখিয়া তাহার ঘুম ভাঙিয়া গেল।সে স্বপ্নে দেখিতেছিল একটা বৃহৎ অদ্ভুত মানবাকৃতি ধারণকৃত অদ্ভুত পোশাক পরিহিত কেহ তাহাকে গাধা বানাইয়া পিটিতে পিটিতে আকাশপানে লইয়া যাইতেছে।এ স্বপ্ন দেখিয়া রোমান চিন্তার মহাসাগরে ডুবিয়া গেল। তাহার পরে সে এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিবার জন্য মরিয়া হইয়া উঠিল।অবশেষে এক আধ্যাত্মিক সাধকের শরণাপন্ন হইলে তিনি এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান করিয়া দিলেন।তিনি রোমানকে বলিলেন এ স্বপ্ন তোমার মৃত্যুর সংকেত।তুমি অচিরেই মৃত্যু বরণ করিবে।এ কথা শুনিয়া মৃত্যু ভয়ে রোমানের মন শঙ্কিত হইয়া উঠিল।সে সাধকের পরামর্শে যাবতীয় পাপকর্ম ত্যাগ করিয়া দিবার চেষ্টা করিল।সে মানব সেবায় আত্ম নিয়োগ করিবার জন্য অসংখ্য হাসপাতাল,অনাথ আশ্রম,বিকা-লঙ্গ সেবা সংস্থানসহ আরও সমাজ উন্নয়ন মূলক কাজ করিবার জন্য নিবেদিত প্রাণ হইয়া পড়িল।সে মানব কল্যাণের জন্য অনেককিছু করিল কিন্তু তাহার মধ্যকার পাপ-বৃত্তিগুলোকে দমন করিতে পারিলনা। সে যাবতীয় নেশা পরিত্যাগ করিবার চেষ্টা করিল কিন্তু সক্ষম হইল-না।সে একবার নহে দুইবার নহে নিরানব্বই বার প্রতিজ্ঞা করিল সে আর নেশা করিবে না, সে কোন দিন নারী সংস্পর্শে যাইবেনা।কিন্তু তাহার চিরাচরিত অভ্যাস,তাহার বাল্যকালের অর্জিত সেই বিদ্যা,তাহার কলঙ্কিনী জননীর উপর অপরিমেয় ঘৃণা সব কিছুর ভাব মিলাইয়া কোন এক অদৃশ্য অশুভ শক্তি এ নেশার অন্ধকারাচ্ছন্ন জগত হইতে তাহাকে বাহির হইতে দিলনা।অতঃপর নিরানব্বই-বার প্রতিজ্ঞা করিবার পরেও সে যখন কোন ফল পাইলনা তখন অবশেষে সে একখানা কোষমুক্ত তরবারি লইয়া আপন বক্ষের উপর ব্রহ্মাস্ত্রের ন্যায় আঘাত করিয়া মহানিদ্রায় নিদ্রিত হইল।মহানিদ্রা-কালে তাহার আপন বক্ষের তাজা রক্ত দিয়া সমস্ত নারী জাতীর উদ্দেশ্য লিখিয়া গেল...........................।
হে কলঙ্কিনী নারী জাতি,
কেন তোমরা জীবনের গরলময় পেয়ালায় চুমুক দিয়া জন্ম দাও জীবনের?
তোমরা ভাবিয়া থাক ইহা তোমাদের পরম কৃপা,
কিন্তু এ কৃপা নহে, এ সূচনা বিষে-ভরা এক নতুন জীবনের।
জন্মই দুঃখ
জন্মই সমস্ত দুঃখের কারণ।
হে কলঙ্কিনী,হে নিষ্ঠুর জননী,তুমি বল মোরে?
এ মহামায়ার বুকে কে আছে এমন যে জয় করিতে পারে নিষ্ঠুর মরণ।
(সমাপ্ত)